কলকাতার একমাত্র ফোর্ট

76

ফোর্ট উইলিয়াম(Fort William)  হল কলকাতার হেস্টিংস,এ অবস্থিত একটি বিশাল দুর্গ। ভারতের কলকাতা শহরের ভিতরে যেন আরও একটি শহর এই ফোর্ট উইলিয়াম। এটি পশ্চিমবঙ্গে ব্রিটিশ প্রশাসনের প্রথম দিকে নির্মিত হয়েছিল। এটি গঙ্গা নদীর প্রধান শাখা হুগলি নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত। বোম্বে (মুম্বাই) এবং মাদ্রাজ (চেন্নাই) ব্যতীত ,কলকাতার সবচেয়ে স্থায়ী ব্রিটিশ যুগের সামরিক দুর্গগুলির মধ্যে একটি, এটি সত্তর হেক্টর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।

রাজা উইলিয়াম এর নামানুসারে দুর্গটির নামকরণ করা হয়েছিল। কলকাতা ফোর্ট উইলিয়াম(Fort william india) এর সামনে রয়েছে দেশের বৃহত্তম পার্ক ময়দান। বর্তমানে দুর্গটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের সদর দপ্তর।

ইতিহাস

দুটি ফোর্ট উইলিয়ামস আছে, আসল দুর্গটি ১৬৯৬ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি স্যার জন গোল্ডসবরোর নির্দেশে তৈরি করেছিল যা সম্পূর্ণ হতে এক দশক সময় লেগেছিল। মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব অনুমতি দিয়েছিলেন। স্যার চার্লস আইর হুগলি নদীর তীরে দক্ষিণ-পূর্ব বুরুজ এবং সংলগ্ন দেয়াল দিয়ে নির্মাণ শুরু করেছিলেন। ১৭০০ সালে রাজা উইলিয়াম III এর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়। জন বিয়ার্ড, আইরের উত্তরসূরি, ১৭০১ সালে উত্তর-পূর্ব দুর্গ যোগ করেন এবং ১৭০২ সালে দুর্গের কেন্দ্রে গভর্নমেন্ট হাউস (ফ্যাক্টরি) নির্মাণ শুরু করেন। ১৭০৬ সালে নির্মাণ শেষ হয়। মূল ফোর্ট উইলিয়াম, যাকে এখন “ওল্ড ফোর্ট উইলিয়াম” বলা হয় বর্তমান দুর্গের উত্তরে সম্পূর্ণ ভিন্ন কাঠামো ছিল। দুর্গটি ১৭০০ থেকে ১৭৫৬ সালের মধ্যে বিদ্যমান ছিল।

মূল ভবনটিতে দুটি তলা এবং প্রজেক্টিং উইংস ছিল। ১৭১৩ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কোর্ট অব ডাইরেক্টর্স এই মন্তব্য করেন যে, ভবনসমূহের সুউচ্চ শৃঙ্গের কারণে নদীতীর থেকে দুর্গটিকে জমকাল দেখালেও প্রকৃত অর্থে এটি শক্তিশালী নয়।

১৭৫৬ সালে কলকাতা ছিল একটি বিচ্ছিন্ন শহর। শহরের এই অংশটিকে (ফোর্ট উইলিয়াম এর আশপাশ)  ইউরোপীয় শহর বলা হত কিন্তু লোকমুখে ‘হোয়াইট টাউন’ নামে পরিচিত ছিল। ইংরেজদের পাশাপাশি এটিতে পর্তুগিজ, আর্মেনিয়ান এবং ইউরেশীয় বংশোদ্ভূত বিপুল সংখ্যক লোক বাস করত। ভারতীয় বণিকরা দুর্গের উত্তরে ব্ল্যাক টাউনে বাস করত, যেখানে নিম্ন আর্থ-সামাজিক শ্রেণীর ভারতীয়রা দক্ষিণ দিকে বাস করত।

১৭৫৬ সালে ফোর্ট উইলিয়মের গভর্নর রজার ড্রেক যখন নবাব সিরাজউদ্দৌলা কে কলকাতা আক্রমণে প্ররোচিত করেন, তখনই দুর্গের কার্যকারিতার পরীক্ষা হয়ে যায়। নবাব কলকাতা দখল করে দুর্গে প্রবেশ করেন এবং ১৭৫৬ সালের ১৯ জুন গভর্নর ড্রেক এবং তার সৈন্য-সামন্তকে দুর্গ ত্যাগে বাধ্য করেন। এখান থেকেই পুরাতন ফোর্ট-এর ধ্বংসের শুরু। পলাশী-উত্তর যুগে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার রাজনীতিতে ভাগ্য নিয়ন্তারূপে আবির্ভূত হয়। পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোম্পানি তাদের ক্রমবর্ধমান শক্তির প্রকাশ ঘটাতে পারে এমন একটি দুর্গের প্রয়োজন অনুভব করে। প্রথমদিকে পুরানো দুর্গটিকেই নতুন করে নির্মাণ ও এর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে জোরদার করার কথা ভাবে কোম্পানি। কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার জেনারেল বেনজামিন রবিন্স এবং তার মৃত্যুর পর কর্ণেল ফেডারিক স্কট এই প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন। কিন্তু পলাশী বিপ্লব সবকিছুকে পালটে দেয়। বাংলার নবাব সিরাজ উদ দৌলা, সাময়িকভাবে শহরটি জয় করেন এবং এর নাম পরিবর্তন করে ‘আলীনগর’ রাখেন।

ইংরেজদের বণিক-সুলভ ভিক্ষাবৃত্তির দিন তখন নেই। ক্লাইভ সুপারিশ করেন বর্তমান অবস্থানে একটি নতুন দুর্গ নির্মাণ করা হোক। তদনুযায়ী ফোর্ট সেন্ট ডেভিড-এর প্রকৌশলী জন ব্রহিয়ের নির্মাণকাজ তদারকি করতে কলকাতায় আসেন। ১৭৫৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানির বাংলা কর্তৃপক্ষ মি. ব্রহিয়েরকে সম্ভাব্য ব্যয়ের হিসাব দাখিল করতে বলেন। ব্রহিয়ের হিসাব করে দেখেন, দুর্গ নির্মাণে ব্যয় হবে ২১ থেকে ২২ লক্ষ টাকা। কোম্পানির পক্ষ থেকে উল্লিখিত পরিমাণ অর্থ অনুমোদিত হয় এবং ব্রহিয়ের-এর তদারকিতে নতুন দুর্গ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। অচিরে ব্রহিয়ের জালিয়াতির দায়ে গ্রেফতার হন। পরবর্তীকালে প্যারোলে মুক্তি পেলেও তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় নি। এ বিপত্তি সত্ত্বেও নির্মাণকাজ এগিয়ে চলে।ব্রিটিশরা ময়দানে একটি নতুন দুর্গ তৈরি করে। ১৭৬১ সালের গোড়ার দিকে বলা হয়, ‘প্রবেশপথ ছাড়া প্রায় পুরোটাই সম্পূর্ণ হয়েছে’। ভারতীয় অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির সদর দপ্তর ১৭৭৫ সালে ফোর্ট উইলিয়ামে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৭৮০ সাল নাগাদ দুর্গের অধিকাংশ কাজ শেষ হয়ে যায়। প্রায় ২ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ে ১৭৮১ সালে নির্মাণ সম্পন্ন হয়। দুর্গর চারপাশের এলাকা পরিষ্কার করা হয় এবং ময়দান হয়ে ওঠে “কলকাতার ফুসফুস”। এটি উত্তর-দক্ষিণ দিকে প্রায় ৩ কিমি প্রসারিত এবং প্রায় ১ কিমি চওড়া।

ওয়ারেন হেস্টিংস-এর সময় দুর্গটি ব্যবহার উপযোগী হয়ে ওঠে। অবশ্য নতুন নতুন প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে আরও অনেক কাজে হাত দিতে হয়। প্রায় এক শতাব্দী পর ১৮৬০-এর দশকে দুর্গের দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজে হাত দেওয়া হয় এবং তা ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ অবধি চলতে থাকে। আধুনিক দুর্গ নির্মাণের স্বীকৃত নীতিমালার সঙ্গে সংগতি রেখেই ফোর্ট উইলিয়ম নির্মিত হয়।

শুরুতে সৈন্যদেরকে যেসব সমস্যার মুখোমুখি হতে হতো তার মধ্যে ছিল পর্যাপ্ত পানীয় জল ও যথাযথ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাব এবং নানাধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব। অবশ্য ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে নতুন ব্যারাক নির্মাণ করা হয়। তার সঙ্গে থাকে পর্যাপ্ত পানীয় জলের সরবরাহ এবং চিকিৎসা সুবিধা। দুর্গের নির্মাণ কাজ যখন সম্পূর্ণ হয়, তখন পূর্বভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সর্বোচ্চ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ফলে নবনির্মিত ফোর্ট উইলিয়ম সক্রিয় দুর্গের ভূমিকা পালন করতে পারেনি। বস্তুতপক্ষে, ফোর্ট উইলিয়ম কখনও অবরোধের মুখোমুখি হয়নি; ফোর্ট উইলিয়মের প্রাচীরশীর্ষ থেকে কোন কামান বা বন্দুক শত্রুর উদ্দেশ্যে গোলাবর্ষণ করে নি। ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের গুরুগম্ভীর দর্শনীয় নিদর্শন হিসেবেই ফোর্ট উইলিয়মের অস্তিত্ব রয়ে গেছে।

আজকের ফোর্ট উইলিয়াম(Fort william Kolkata):-■

কলকাতার একমাত্র ফোর্ট

বর্তমানে যেখানে জেনারেল পোস্ট অফিসইস্টার্ন রেলওয়ে অফিসকাস্টম হাউস এবং নিকটবর্তী সরকারি অফিসসমূহ গড়ে উঠেছে, সেখানেই ছিল দুর্গের প্রকৃত অবস্থান।

আজ, ফোর্ট উইলিয়াম ভারতীয় সেনাবাহিনীর সম্পত্তি। ইস্টার্ন কমান্ডের সদর দপ্তর সেখানে অবস্থিত, যেখানে ১০,০০০ সেনা সদস্য থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। সেনাবাহিনী ব্যাপকভাবে এটি পাহারা দেয় এবং বেসামরিক প্রবেশ সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত।

ফোর্ট উইলিয়ামের বেশিরভাগ অংশ অপরিবর্তিত আছে, কিন্তু সেন্ট পিটার্স চার্চ, যেটি কলকাতার ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য চ্যাপ্লেনসি সেন্টার হিসেবে কাজ করত, এখন সদর দপ্তর ইস্টার্ন কমান্ডের সৈন্যদের জন্য একটি গ্রন্থাগার।

দুর্গের প্রবেশদ্বারে একটি যুদ্ধ স্মারক তৈরি করা হয়েছে, এবং দুর্গটিতে একটি জাদুঘরও রয়েছে যেখানে ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের নিদর্শন রাখা আছে , বিশেষ করে পূর্ব সেক্টরের যুদ্ধ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সাথে সম্পর্কিত নিদর্শন।

কাঠামোগত সম্পাদনা:-■

ফোর্ট উইলিয়াম একটি অষ্টভুজাকৃতি দুর্গ। এর পাঁচ দিক স্থলভাগের দিকে এবং তিন দিক নদীর দিকে প্রসারিত। জলকপাটের সাহায্যে নদী থেকে আসা জলে পরিপূর্ণ একটি পরিখা দুর্গটিকে বেষ্টন করে আছে। দুর্গে প্রবেশের জন্য সাতটি প্রবেশদ্বার ছিল। গোড়ার দিকে নির্মিত ব্যারাকগুলি ছিল একতলা বিশিষ্ট। সেন্ট পিটারকে উৎসর্গ করা একটি গির্জা ছিল দুর্গের অভ্যন্তরে।

দুর্গটি ইট এবং মর্টার দিয়ে একটি অনিয়মিত অষ্টভুজ আকৃতিতে ৫ কিমি  (১.৯ বর্গ মাইল) এলাকা নিয়ে নির্মিত। এর পাঁচটি অভিমুখ শহরের দিকে এবং তিনটি হুগলি নদীর দিকে। নকশাটি একটি স্টার ফোর্টের মতো, যা কামানের ফায়ারিং সলিড শটের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার জন্য উপযুক্ত। ৯ মিটার (৩০ ফুট) গভীর এবং ১৫ মি (৪৯ ফুট) প্রশস্ত একটি শুকনো পরিখা দুর্গটিকে ঘিরে রেখেছে। পরিখা প্লাবিত হতে পারে তবে এটি এমন একটি এলাকা হিসাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেখানে দেয়ালে পৌঁছানো আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে এনফিলেড (বা ফ্ল্যাঙ্কিং) ফায়ার ব্যবহার করা যায়। ছয়টি গেট রয়েছে: চৌরঙ্গী, পলাশী, কলকাতা, ওয়াটার গেট, সেন্ট জর্জেস এবং ট্রেজারি গেট। কেরালার থ্যালাসেরির মতো জায়গায় একই রকম দুর্গ আছে।

দর্শনীয় স্থান:■

১৯১১ সালে ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত হওয়ার পর, ফোর্টের কিচেনার হাউস বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি অফিসারদের অফিসার্স মেসে পরিণত হয়। কেউ কেবল বাইরে থেকে দুর্গটি দেখতে পারে কারণ ভিতরে প্রবেশ বেসামরিক লোকদের জন্য সীমাবদ্ধ এবং প্রতিরক্ষা কর্মী এবং তাদের আত্মীয়দের জন্য প্রযোজ্য।

অনুমতি ছাড়া এই ফোর্ট জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়, তাও একটা সম্যক ধারণা দেওয়া যেতে পারে যে এর ভিতরে দেখার মতো কি কি রয়েছে:

বিজয় স্মারক:-  পূর্ব গেট দিয়ে ঢুকলেই প্রথমে দেখা যাবে বিজয় স্মারক (যুদ্ধ স্মারক) যা ১৯৯৬ সালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর এন বাত্রা উদ্বোধন করেন।

ওয়ার মেমোরিয়াল :- ১৯৬২ এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধে নিহত সৈন্যদের নাম রয়েছে।স্মৃতিসৌধের দেয়ালে এই যুদ্ধ ও বিদ্রোহে নিহতদের নামও লেখা আছে। গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলিতে, ইস্টার্ন কমান্ডের পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠান বিজয় স্মারকে অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া অক্ষয় জ্যোতি, শহীদ বেদী, বিভিন্ন যুদ্ধে শহীদ সেনা দের নাম, বিভিন্ন রেজিমেন্টের বিভাগ ও তাদের কার্য কার্যকলাপ সংক্রান্ত বিবরণ, কেল্লার পরিখা, এক জোড়া সিংহের মূর্তি, বাংলাদেশের যুদ্ধে পাওয়া একটি ট্যাঙ্ক, একটি ফাইটার প্লেন, ডালহৌসি বারাক, নেতাজির সেল, নতুন চার্চ, মন্দির, গুরুদ্বার, কিচেনার হাউস, টাইম গান, গান হাউস, বল টাওয়ার, আর্মহাস্ট  হাউস, কমান্ড লাইব্রেরি এবং ফোর্টের সবথেকে পুরনো কামান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কালীন ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র, কামানের গোলা এবং কেল্লা থেকে সেটা ছোঁড়ার ব্যবস্থা ইত্যাদি।

কীভাবে ফোর্ট উইলিয়ামে পৌঁছাবেন:-■

কলকাতার একমাত্র ফোর্ট

ট্রেনে নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন হাওড়া জংশন।

আকাশপথে নিকটতম বিমানবন্দর হল নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

হাওড়া জংশন রেলওয়ে স্টেশন এবং বিমানবন্দর থেকে ফোর্ট উইলিয়ামে পৌঁছানোর জন্য ট্যাক্সি বা ক্যাব ভাড়া নিতে পারেন। বাসের মতো গণ পরিবহন ও সবসময় চালু থাকে।

দর্শনার্থীরা এই দুর্গে সামরিক সচিবের কার্যালয় থেকে পাস পেতে পারেন। ভ্রমণের উদ্দেশ্য, যেমন পর্যটন, গবেষণা বা অফিসিয়াল দরকারের উপর নির্ভর করে পাসের চার্জ পরিবর্তিত হয়। টিকিটের চার্জ এবং ডকুমেন্টেশনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সঠিক তথ্যের জন্য অফিসে আগে থেকে যোগাযোগ করতে হয়।

২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে প্রতি রবিবার “হেরিটেজ ওয়াক” শুরু হয়েছে। সকাল আটটা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত দুটো স্লটে গ্রুপ হেরিটেজ ওয়াক করায় ফোর্ট কর্তৃপক্ষ। তবে সেই স্লট বুক করতে হয় অনলাইনে, ই-মেল করে।

[email protected].

ই-মেল আইডি তে ই-মেল করে আবেদন করতে হয়। কর্তৃপক্ষ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউনট এর নম্বর দেবার পর সেখানে মাথাপিছু হিসেবে টাকা জমা দিলে স্লট বুক হয়। অন্তত এক সপ্তাহ আগে বুক করতে হয়।  ছাত্র ছাত্রীদের টাকা লাগে না।

হেরিটেজ ওয়াক এর কিছু নিয়ম রয়েছে:-

  • দেরি করা যাবে না।
  • ফরমাল বা ক্যাজুয়াল পোশাক ও জুতো পড়তে হবে। চটি, হাওয়াই, হাফপ্যান্ট, মিনি স্কার্ট, থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট পরা যাবে না।
  • সরকারি পরিচয় পত্রের আসল ও জেরক্স কপি সঙ্গে রাখতে হবে। জেরক্স কপি কর্তৃপক্ষ জমা নেবেন।
  • ছবি তোলা নিষিদ্ধ। কর্তৃপক্ষ ওয়াকের ছবি তুলে রাখে। পরে সেটা গ্রুপ লিডার কে ই-মেল করে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
  • বিনামূল্যে জলযোগের ব্যবস্থা থাকে।

ব্রিটিশরা কলকাতা তথা ভারতে যে কটি structure বানিয়ে গেছে,  ফোর্ট উইলিয়াম তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও পুরনো দর্শনীয় স্থান যা আজও সগর্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।

পৃথা

Read also: জ্বলন্ত ভারত